দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) জরুরি বিভাগে পাওয়া যায় না ট্রলি। এতে স্বল্প সময়ে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গুরুতর রোগীরা। এমন অভিযোগ করেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে শত শত রোগী চিকিৎসা নিলেও তাদের বহনে রয়েছে মাত্র ৩০টি ট্রলি।

একই সময়ে রংপুরে দুদিন আগে স্ট্রোক করে মফিদুর নামে এক ব্যক্তি। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা তাকে নিয়ে অবিরাম ছুটে আসা অ্যাম্বুলেন্সটি জরুরি বিভাগে রাত সাড়ে ১২টায় পৌঁছালেও দ্রুত মেলেনি কোনো ট্রলি। মফিদুরের সঙ্গে থাকা স্বজনরা জানান, ট্রলি না থাকায় জরুরি বিভাগে সামনে যেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে তাদের।
হাসপাতালটির সামনে গিয়ে দেখা যায় ট্রলি না পেয়ে দ্রুত চিকিৎসা নিতে আসা অনেক রোগীই অ্যাম্বুলেন্স, সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা রিকশা থেকে নেমে জরুরি বিভাগে হেঁটে যান। আবার কেউ কেউ রোগীদের কোলে করে নিয়ে যান তাদেরই স্বজনরা।
রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেন, ট্রলি পেতে নগদ অর্থও গুনতে হয় এখানে, অন্যথায় সহজে পাওয়া যায় না।
প্রতিটি রোগীকেই হয়রানি পোহাতে হয় ১০ থেকে ৩০ মিনিট এমনকি তারও বেশি সময় ধরে। তারপরও গুনতে হয় টাকা।
তবে হাসপাতালের ট্রলিম্যানরা জানান, সংকট রয়েছে, পাশাপাশি রোগীদের প্রয়োজেনই অনেক সময় ধরে আটকে থাকে তাদের কাছে ট্রলি। যেহেতু জরুরি বিভাগের বেশির ভাগ রোগীই থাকে বেশি অসুস্থ। তাই তাদের দ্রুত ট্রলি থেকে নামিয়ে দেয়া যায় না। চিকিৎসকের কথামতো তাদের বেডে পৌঁছানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এতে অনেক সময় লেগে যায়।
রাজধানীসহ সারা দেশ থেকে আসা গুরুতর রোগীদের আস্থার প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিন জরুরি বিভাগে শত শত রোগী চিকিৎসা নিলেও তাদের বহনে রয়েছে মাত্র ৩০টি ট্রলি।