টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছেন মেসিরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট খেলায় ২-২ গোলে ড্র করার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তখনও কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জয় নিশ্চিত হয় মেসিদের। আর্জেন্টিারা এ জয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে মেসি ভক্তরা।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় কোয়ার্টার ফাইনালের এ খেলা হয়। খেলায় জয়ের পর চারদিকে মেসিদের জয়ধ্বনি। কিন্তু জয়টা এত সহজ ছিল না। জয়ের জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় টিম আর্জেন্টিনাকে। যদিও জয়ের নেপথ্য নায়ক ছিলেন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। মূলত নেদারল্যান্ডসকে দুই কারণে হারানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেসিদের কোচ লিওনেল স্কালোনি।
তার মতে, প্রথমত তিনি জানতেন, দলের ফুটবলাররা পেনাল্টি নিতে একটুও ভয় পাবেন না। পাশাপাশি স্কালোনির ভরসা ছিল গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের ওপরও। ম্যাচ শেষে সেই কথা জানান তিনি।
মেসিদের কোচের কথায়, ‘সাধারণত কোনও ম্যাচে এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে, ফুটবলাররা ভয়ে থাকে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সবাই পেনাল্টি মারতে আগ্রহী ছিল। আমাদের শুধু নামের তালিকাটা তৈরি করে দিতে হয়েছে। তা ছাড়া এটাও জানতাম যে মার্টিনেজ অন্তত একটা গোল ঠেকাবেই। তাই আমাদের লক্ষ্য ছিল যাতে সবাই পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারি।’
স্কালোনি আরও বলেন, ‘ম্যাচে যে পরিস্থিতিই আসুক না কেন, কীভাবে তা মোকাবিলা করতে হবে সেটা সব ফুটবলার জানে। মনে হয় পেনাল্টির আগে আমাদের খেলা শেষ করে দেয়া উচিত ছিল। তবে এই দলটার ইচ্ছাশক্তি আমার দারুণ লাগে। হারার আগে কিছুতেই হারতে চায় না তারা। এই বিশ্বকাপে অনেক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের। প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিলাম। মেক্সিকোর বিরুদ্ধেও খেলা কঠিন হয়েছে। নেদারল্যান্ডস লং বলে আমাদের জোর করে রক্ষণ করতে বাধ্য করেছে। কিন্তু আমরা জানতাম আত্মবিশ্বাস থাকলে জিততে পারি। সেটাই হয়েছে।’
নির্ধারিত সময়ের বদলে অতিরিক্ত সময়ে কেন ডি মারিয়াকে নামালেন সেই প্রসঙ্গে স্কালোনি বলেছেন, “ওকে অতিরিক্ত সময়ে নামাব এটা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম। গোটা ম্যাচেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে চেয়েছি আমরা। তবে ম্যাচের গতিপ্রকৃতির কারণে সেটা সব সময় সম্ভব হয়নি।”