
সিআর সেভেনের বিশ্বকাপের পরিংখ্যান এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। ঘানার বিরুদ্ধে ৬৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনাল্ডো। ওই গোলের পরই তাঁর মুকুটে জুড়ে যায় আরও একটি রঙিন পালক।
কাতারে আসার আগে বিশ্বকাপে মোট ১৭ ম্যাচে ২টি অ্যাসিস্ট ও ৭টি গোল ছিল রোনাল্ডোর। ২০০৬ সালে ইরানের বিরুদ্ধে প্রথম গোল। ২১ বছর ১৩২ দিন বয়সে পর্তুগিজের সর্বকনিষ্ঠ প্লেয়ার হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে গোলের নজির গড়েছিলেন সিআর সেভেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে হ্যাটট্রিকও আছে রো-এর। রাশিয়ায় স্পেনের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন রোনাল্ডো। এবার কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই গোল পেলেন।
সব মিলিয়ে পাঁচ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ১১৮। বিশ্বকাপে গোলের সংখ্যা হল ৮ টি। বিশ্বকাপের পর পর চার আসরে গোল করার নজির রয়েছে ফুটবল সম্রাট পেলে, জার্মানির ক্লোজে এবং উই সিলারের। মেসিও এই রেকর্ড স্পর্শ করেছেন কাতারে। তবে এতাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
এবার সামনে আরেক রেকর্ড। বিশ্বকাপের আসরে আরও ১টি গোল করলে ছুঁয়ে ফেলবেন পুর্তুগালের কিংবদন্তি ইউসেবিয়োর ৯ গোলের কীর্তি। সুয়ারেজদের বিরুদ্ধে সেই রেকর্ড কি ছুঁতে পারবেন রো?
আসলে রেকর্ড আর রোনাল্ডো, দুটোই যেন সমার্থক। বিশ্বকাপে বিশ্বরেকর্ড পর্তুগিজ যুবরাজের। পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড করা ৩৭ এর সিআর সেভেনকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন পর্তুগিজ সমর্থকরা।
বিশ্বকাপে রোনাল্ডোর গোল-২০০৬ জার্মানি ফিফা বিশ্বকাপ
ম্যাচ ৬- গোল ১-অ্যাসিস্ট ০
২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপম্যাচ ৪- গোল ১ -অ্যাসিস্ট ১
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপম্যাচ ৩- গোল ১- অ্যাসিস্ট ১
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপ
ম্যাচ ৪- গোল ৪-অ্যাসিস্ট ০
২০২২ কাতার বিশ্বকাপম্যাচ ১- গোল ১- অ্যাসিস্ট ০